জমজম কূপের পানি পানে নতুন নিয়ম করা হলো

সৌদি আরব সম্প্রতি জমজম কূপের পানি নিয়ে নতুন নির্দেশনা দিয়েছে। কাবা এবং মসজিদের নববীতে রাখা জমজম কূপের পানি অবশ্যই মহান আল্লাহ তায়ালার নাম স্মরণ করে এবং ডান হাতে পান করতে হয়। সেই সাথে বজায় রাখতে হয় পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা।

সৌদি আরবের হজ্ব ও ওমরা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, জমজম কূপের পানি পান করার সময় নিজেকে শান্ত রাখতে হবে। সে সময় সাহায্য চাইতে হবে মহান আল্লাহ তায়ালার কাছে, তার সন্তুষ্টি কামনা করতে হবে।

সেই সাথে আরো নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে যে মহান আল্লাহতালার নাম স্মরণ করার সাথে সাথে অবশ্যই ডান হাতে পানি পান করতে হবে। আশেপাশে এটি যেন ছিটিয়ে না পড়ে সেদিকেও নজর দিতে হবে। জমজম কূপের পানির ট্যাব ছেড়ে দিয়ে ওজু না করার জন্য বলা হয়েছে। যেহেতু সেখানে অনেক মানুষই এই পানি সংগ্রহ করার জন্য গিয়ে থাকেন তাই ঠেলাঠেলি না করে, ভিড় না করে, অত্যন্ত ভদ্রতার সাথে মুসল্লিদের জন্য চলাফেরার জন্য অনুরোধ করেছে সৌদি আরবের হজ কর্তৃপক্ষ।

জমজম কূপের পানির বৈশিষ্ট্য এবং রক্ষণাবেক্ষণ সম্পর্কিত তথ্য

বিখ্যাত সৌদি গেজেট সংবাদপত্র অনুযায়ী এই কূপ হতে বিগত ৫ হাজার বছর ধরে একটা না পানি পাওয়া যাচ্ছে। এমনকি উক্ত দেশের জিওলজিক্যাল সার্ভে অ্যান্ড রিসার্চ সেন্টারে পক্ষ হতে এই কূপের পানির অম্লতা, গভীরতা, মান ইত্যাদি সম্পর্কে নিয়মিত নজর রাখা হয়ে থাকে।

এই গ্রুপটি মূলত ৩০ মিটার গভীর এবং প্রতি সেকেন্ডে ১৮ লিটার করে পানি উঠানো যায়। কূপটির পানি উত্তোলন সম্পর্কিত একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছিল ২০১৩ সালে প্রায় ৭০০ মিলিয়ন সৌদি মুদ্রা খরচ করে।

হজের সাথে জমজম কূপের পানির কি সম্পর্ক

বিভিন্ন ইসলামিক চিন্তাবিদ এবং আলেমরা বলে থাকেন হজ্বের সাথে এই পানির কোন সম্পর্ক নেই। এটি একটি অনুষঙ্গ মাত্র। হজ্বের ফরজ ৩টি এবং ওয়াজিব ৫টি। এগুলোর মধ্যে জমজম কূপের পানির অন্তর্ভুক্ত নেই। যেহেতু মসজিদে হারামের ভেতরে সকল পানির জমজম কূপের তাই তৃষ্ণা মেটানোর জন্য এটি পান করা হয়ে থাকে। ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা বিশেষ করে থাকেন যে এটি মহান আল্লাহ তাআলার কুদরতের পানি। হজ্ব পালনের সাথে এটির সরাসরি সম্পর্ক না থাকলে হজ্বের ইতিহাসের সাথে জমজমের ইতিহাস খানিকটা জড়িত।

Leave a Comment