আমরা চাইলেই একটি দেশের সিম অপর দেশে নিয়ে ব্যবহার করতে পারি না। কারণ সিম ব্যবহারের নির্দিষ্ট সীমা রয়েছে। অন্য দেশে গেলে সেই দেশের অপারেটর থেকে সিম কিনে তারপর সেটি ব্যবহার করতে হয়। তবে বর্তমানে রোমিং সুবিধা পদ্ধতির মাধ্যমে বাংলাদেশের যেকোনো জিপি এয়ারটেল বা অন্য কোন অপারেটরের সিম নিয়ে বিদেশে ব্যবহার করতে পারবেন।
যারা কিনা অল্প কিছুদিন যেমন ঘুরতে যাওয়া, চিকিৎসা সেবা নিতে যাওয়া ইত্যাদি কাজে বিদেশ গিয়ে থাকেন তারা চান নিজেদের সিমটি চালু রাখার জন্য। ১৫ দিন কিংবা ১ মাসের জন্য সেই দেশের নতুন অপারেটরের সিম না অনেকের কাছেই বাড়তে ঝামেলা মনে হতে পারে।
আবার যেহেতু এই সিমটি আমাদের বিভিন্ন ধরনের মোবাইল ব্যাংকিং একাউন্টসহ না ধরনের গুরুত্বপূর্ণ অ্যাপের প্রতিটি আসে তাই সেটি বন্ধ রাখাও সমস্যা। এক্ষেত্রে সমাধান দিয়েছে রোমিং সেবা।
রোমিং পদ্ধতি কি
এটি হচ্ছে এমন একটি সিস্টেম যার মাধ্যমে একটি দেশের সিম কার্ড অপর দেশের গিয়ে ব্যবহার করা যায়। ধরুন বাংলাদেশ হতে জিপি সিম নিয়ে আপনি সৌদি আরব গেলেন। রোমিং পদ্ধতি চালু থাকলে সৌদি আরবের সিম অপারেটরদের অধীনে আপনি জিপি সিমের নেটওয়ার্ক সেবা পেতে পারেন। এমনকি ভয়েস কল, এসএমএস সুবিধা সহ ইন্টারনেটে ব্যবহার করতে পারবেন।
বিদেশে গিয়ে কিভাবে জিপি সিম ব্যবহার করবেন
এটি শুধুমাত্র যে গ্রামীন সিমের জন্যই প্রযোজ্য বিষয়টি তা নয়। রবি, বাংলালিংক সহ সকল সিমেই এই সুবিধাটি পেতে পারেন। এই রোমিং সেবাটি আপনি দুটি পদ্ধতিতে চালু করতে পারেন। প্রথমটি হচ্ছে সংশ্লিষ্ট সিমের কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে রোমিং চালু করা অথবা মাই জিপি মাই এয়ারটেল অ্যাপ হতে রোমিং সেবা চালু করা।
সবচাইতে সহজ হয় কাস্টমার কেয়ারে গিয়ে এটি চালু করে নিলে। অ্যাপের মাধ্যমে চালু করলে অবশ্যই আপনার ডুয়েল কারেন্সি কার্ড থাকতে হবে। কারণ রোমিং পদ্ধতির জন্য পেমেন্ট ডলারে করতে হয়।
জিপি সিমে রোমিং চালু করার জন্য মাই জিপি অ্যাপের প্রবেশ করলেই আপনি এই সেবা দেখতে পারবেন।
রোমিং সেবায় কলরেট কত করে
তুলনামূলকভাবে রোমিং পদ্ধতিতে কলরেট অনেকটাই বেশি। এ কলরেট ইন্টারনেট ও নির্ভর করে আপনি কোন দেশে গিয়ে রোমিং সার্ভিসটি ব্যবহার করছেন।
এশিয়ার দেশগুলোতে সাধারণভাবে কলরেট হয়ে থাকে ২৫ টাকা প্রতি মিনিট। এই ক্ষেত্রে ইনকামিং কলার ক্ষেত্রেও প্রতি মিনিটে ১০ টাকা করে চার্জ প্রযোজ্য হবে। প্রতিটি এসএমএসের জন্য চার্জ প্রযোজ্য হবে ৫ টাকা। ইন্টারনেটের ক্ষেত্রে টুজি, থ্রিজি এবং ফোরজি সেবাও পাওয়া যাবে।
অন্যান্য দেশের ক্ষেত্রে কলরেট কিছুটা কম অথবা বেশিও হতে পারে। একইভাবে অন্যান্য সিম অপারেটরদের ক্ষেত্রেও কলরেট মোটামুটি একই ধরনের।
বাংলাদেশ হতে যারা সাময়িক সময়ের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ভ্রমণ করে থাকেন তাদের জন্য রোমিং সার্ভিসটি খুবই উপযোগী উপযোগী। যেহেতু বর্তমানে ব্যাংকিং সহ নানা কার্যক্রম সম্পন্ন করতে সিমের ওটিপিটি প্রয়োজন হয়। তাছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সোশ্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম যেমন whatsapp, imo ইত্যাদির ক্ষেত্রেও নম্বরটি অবশ্যই একটিভ থাকতে হবে। তাই সাময়িক সময়ের জন্য নিরবিচ্ছিন্নভাবে সবার সাথে যোগাযোগ রাখার জন্য রোমিং সার্ভিস খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
তবে যারা কিনা বিদেশে দীর্ঘদিনের জন্য যান যেমন কাজের উদ্দেশ্যে বা লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে তাদের জন্য সেই দেশের একটি সিম কেনায় সবচাইতে বেশি সাশ্রয়ী।
https://studynewsonline.net/no-progress-in-government-meeting-with-engineering-students-meeting-with-stakeholders-again-on-thursday/